গৌরবের সন্তান

স্বাধীনতা (মার্চ ২০১১)

Md. Nazimuddin
  • 0
  • 0
  • ২৪

গৌরব আমার সে সন্তানকে নিয়ে,
যে সন্তান কোটি মানুষের প্রাণ রক্ষায়,
নিজের প্রাণ করেছে বলিদান।
সেতো আর কেউ নয়, আর কেউ নয়,
শেখ মজিবুর রহমান।
কত নারী কত শিশু দিয়েছে পাকিস্তানি
হানাদারের হাতে নিজের সম্মান।
তাদের সম্মান রক্ষায় শেখ মজিবুর রহমান,
দিয়েছে অকাতরে প্রাণ।
এই গর্বিত নেতা আমাদের মাঝে
আর কি আছে বেঁচে, আছে বেঁচে, আছে বেঁচে
তার যে, মরণের ক্ষয় নাই।
এই দেশের কোটি মানুষের মুখের দিকে চেয়ে
শেখ মজিবুর রহমান সহ সপরিবারে
দিয়েছে নিজেদের জীবন বিলিয়ে।
তবুও তো আমাদের মাঝে বেঁচে আছে তার এই স্মৃতি,
আমরা আমাদের জীবন দিয়ে রাখবো
এই দেশের স্বাধীনতার মান ও ভীতি।


বিদেশে বাঙ্গালি শ্রমিক

আমার দেশের শ্রমিক ভাই,
অর্থ উপার্জনের জন্য বিদেশ যায়।
বিদেশিরা সস্তা শ্রমিক পাই,
কর্ম অর্থে বাঙ্গালি শ্রমিকদের খাটায়।
আমার দেশের দালাল করে চুক্তি,
বিদেশিরা হাসে মুচকি,
ভিটা-মাটি বিক্রি করিয়া,
বিদেশ যায় দালাল ধরিয়া।
অনেক অর্থ পন দিয়েছে,
কষ্ট করে থাকছে শেষে।
কেউ পারছে অর্থ জমাতে,
কেউ আবার মাগনা খাটছে।
কাউকে আবার কর্ম না দিয়া
পাঠাচ্ছে ফেরত দিব্যি ফ্লাইট ধরিয়া।
দেশে আসছে এক বুক কষ্ট নিয়া,
অর্থ আবার ফেরত না পাইয়া,
দেশের লোক যাতা বলছে ঘৃণা ভরিয়া।
কেউ পারছে সহ্য করতে,
কেউ আবার মরছে শেষে।


সবুজ বাংলা

শস্য-শ্যামল ফসলে ভরা,
সবুজ আমার দেশ।
দেশের বুকে বয়ে গেছে,
মাঠে মাঠে সবুজের এই পরিবেশ।
যেদিদেক তাকায় সবুজের সমারহ,
একটু খানি নেই ফাঁকা।
ফসল পাকলে সোনালি বরণ ধারণ করবে,
এই ধরা চির অম্লান।
বাংলার মাটি আসলেই খাঁটি,
ফসল ফলে সারা বছর।
চার পাশে তাকালে দেখা যায়,
সবুজ আর সবুজ।
যেন এক দেখা যায় সবুজের মেলা,
মাঠের উপর মাঠ তার পরে আবার গ্রাম।
সব খানেই তো সবুজ,
শস্য-শ্যামল ফসলে ভরা,
সবুজ আমার দেশ।
এই ধরা থাকবে চিরকাল,
পৃথিবী সরবো শেষ।


মায়ের মতো আমার দেশ

সবুজে ঘেরা বাংলা আমার মায়ের মত দেশ,
মায়ের মত ছায়া করে রাখে আমার এই দেশ।
দেশটা তো ভারি সুন্দর মায়ের মত কোমল,
মাও ছিল আমার এই দেশের মত কোমল।
শিশুকালে মা যেমন করে আমার ঘুমাতো আঁচল তলে,
আমার এই দেশ ঠিক ঘুমায় আমার মায়ে মত করে।
শিশু কালে মা যেমন করে খাওয়াত তুলে আমার,
আমার এই দেশ ঠিক আমায় খাওয়াই তেমন করে।
সুবুজে ঘেরা বাংলা আমার মায়ের মত দেশ,
মায়ের মত ছায়া করে রাখে আমার এই দেশ।
মায়ের দিকে চেয়ে যেমন থাকতাম একটি পলক,
আমার দেশের দিকে চেয়ে দেখি সেই রকমি ঝলক।
কারণ আমার মা ছিলো মিষ্টি হাসিতে ভরা,
সেই রকমি এখন লাগে আমার এই দেশটা।
মা আমার সহজ সরল মায়া মমতায় ভরা,
দেশও আমার সবুজ শ্যামল ছায়াই ঘেরা।


শিশিরের কনা

নকশি কাঁথার মাঠের ভিতর একি কিশের কনা,
দেখতে সেথা চলতে ভেজা একি কিশের চাঁপড়ি।
মাঠের ভেতর হাজার শিশিরের ভিড়ে,
ঘাস গুলো সব চুপসে আছে নয়ন ধরে ধরে।
শিশির গুলো গড়িয়ে পড়ছে ঘাসের গাঁয়ে গাঁয়ে,
আরতো কিছু দেখা যাচ্ছে ধান গাছের ওই উপরে
শিশির গুলো শুকিয়ে যাবে যদি উঠে সূর্য,
সারা মাঠে কুয়াশা পড়ছে শীতের মৌসুম এতো
কুয়াশা গুলো পড়ছে সকল গাছের গায় গায়,
গাছ গুলো সব চুপসে আছে শিশির গুলো পড়ছে ফটায় ফটায়।
সূর্য উঠেছে পূর্ব দিকে কুয়াশা ঘন যাচ্ছে কেটে,
তবুও মানুষ হার হারাচ্ছে শীতের কাঁপনীতে।
সকল মানুষ যাচ্ছে মাঠে ধান ক্ষেত নিড়াতে,
আইলের মাঝে দেখা যাচ্ছে শিশির গুলো দুই পা ভিজাছে।
সূর্যের তাপ ছড়াছে সারা মাঠে,
শিশিরের কনা গুলো শুকাচ্ছে ধীরে ধীরে।
ধান ক্ষেতে বসছে মানুষ ধান ক্ষেত নিড়াতে,
শিশির গুলো ঠেকছে গাঁয়ে কিছু অঙ্গ ভিজাছে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন

০৯ ফেব্রুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৬ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“ডিসেম্বর ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ ডিসেম্বর, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী